কসবায় দাদীর বিরুদ্ধে ৫ মাস বয়সী নাতিকে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগ

0 2

কসবায় জিহাদ মিয়া নামে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। শিশুর মায়ের দাবী তার শ্বাশুড়ী ঘুমন্ত শিশুর মুখে বিষ দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। রবিবার রাতে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের ঈশাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত শিশুর মা লিমা আক্তার জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর তার ৫মাস বয়সী শিশু জিহাদকে ঘুম পাড়িয়ে বাড়িতে রাতের কাজ সারছিলেন। কাজ শেষে সে রুমে গিয়ে দেখতে পায় শিশু জিহাদ অঘোরে ঘুমাচ্ছে। এসময় তার শ্বশুর তাকে ডেকে এনে বুঝাচ্ছিলেন ভাদ্র মাস আসলে ছোট ছোট শিশুদের উপর প্রেতাত্মাদের কুনজর পড়ে। একথা শুনে ভয় পেয়ে যায় জিহাদের মা লিমা আক্তার। রাত ১০ টার দিকে রুমে গিয়ে ছেলেকে ঘুমে দেখে পাশের রুমে ওয়াই ফাই কানেকশনে বড় বোনের সাথে কথা বলতে চলে যায়। কিছুক্ষন পর বোনের সাথে কথা বলতে বলতে নিজের রুমে ফিরে এসে রুমের মধ্যে বিষের গন্ধ পায়। সে ভেবে নেয় হয়তো পাশের ঘরে কোনো কাজে বিষ ব্যবহার করছে। এমন ভাবনা ভাংগে তার শিশুর চিৎকারে। পেছন ফিরে দেখতে পায় তার ঘুমন্ত শিশু চিৎকার দিচ্ছে আর বমি করছে। সে কাছে গিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে সন্তানের মুখের বমি মুছতে গিয়ে শিশুর মুখে বিষের গন্ধ পায়। সন্তানকে কোলে নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পাশের রুম থেকে জিহাদের বাবা এসে সন্তানের মুখ শুকে বিষের গন্ধ পায়। মা বাবা যখন সন্তান বাঁচাতে আর্তচিৎকার দিচ্ছে তখন একটু দুরে দাড়িয়ে নীরবে সব দেখছে দাদী জরিনা খাতুন। দাদীর আচরনে জিহাদের মায়ের সন্দেহ হয় তার শ্বাশুড়িই নাতির মুখে বিষ দিয়েছে। প্রেম করে এই বাড়ির বউ হয়ে আসার পর থেকে তাকে আঁড় নজরে দেখতো শ্বাশুড়ী জরিনা খাতুন। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেয়ার পর বিষক্রিয়ায় মারা যায় শিশু জিহাদ। জিহাদের মৃত্যুর খবর শুনে পাশের বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে থাকে দাদী। পরদিন দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ গেলে পাশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে দাদী।

দাদী জরিনা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ছেলের বউ এবং তার মা তাকে মিথ্যা সন্দেহ করছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares