বাঞ্ছারামপুরে চার ইউপির নির্বাচন আটকে গেছে

0 3

prothom-alo20140310143842ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস না করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আটকে গেছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের আটটি গ্রাম নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা গঠিত হয়। গত বছরের ১৫ জুন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাঞ্ছারামপুর উত্তর ইউনিয়নের বাঞ্ছারামপুর, সফিরকান্দি, জগন্নাথপুর, দশদোনা, ভিটিঝগড়ারচর, দুর্গারামপুর, উজানচর ইউনিয়নের নতুনহাটি ও দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের আছাদনগর গ্রামকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের মৃত্যুতে ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর পদটি শূন্য ঘোষণার পরও সীমানা পুনর্বিন্যাস না করায় উপনির্বাচন আটকে যায়। ২০১৩ সালের ৩ জুলাই উজানচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনহাটি ও দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের আছাদনগর গ্রামকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময় পৌরসভার গেজেট প্রকাশিত হয়। এর আড়াই বছর পর গত ১৪ জানুয়ারি বাঞ্ছারামপুর সদর, দরিয়াদৌলত ও উজানচর ইউনিয়নের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-খাজা আলামীন। বাঞ্ছারামপুর উত্তর ইউনিয়নের সঙ্গে আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশগাড়ি গ্রামের একাংশ ও পদ্মপুরকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন দেশের ৭৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন করতে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আইয়ুবপুরসহ ১০ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ রয়েছে। আইয়ুবপুর ইউপির সীমানা-সংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে মতামত চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে ৩ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আল মামুন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে উজানচর, দরিয়াদৌলত ও বাঞ্ছারামপুর উত্তর ইউপির ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস করার পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হবে। আর আইয়ুবপুর ইউনিয়ন থেকে একটি অংশ নিয়ে বাঞ্ছারামপুর উত্তর ইউনিয়নের সংশোধিত গেজেট হওয়ায় যথাসময়ে আইয়ুবপুর ইউপির নির্বাচন হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘সীমানা নিয়ে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করার ক্ষেত্রে গাফিলতি প্রশাসনের, আমাদের নয়।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আল মামুন সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সীমানা পুনর্বিন্যাস করা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজ। এরা আন্তরিক হলে তা অনেক আগেই করা যেত। আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাসের অনুমোদন হলে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে তা সম্পন্ন করতে।’
ইউএনও নূর-ই-খাজা আলামীন বলেন, ‘তিনটি ইউনিয়নের সংশোধিত সীমানা গেজেট প্রকাশ করতে দীর্ঘ সময় লাগার পেছনে প্রশাসনের গাফিলতি থাকতে পারে। তবে আমি ছয় মাসেই সংশোধিত গেজেট করে দিয়েছি। আইয়ুবপুর ইউনিয়নের সংশোধিত সীমানার গেজেট প্রস্তুত রয়েছে। এ সপ্তাহেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares