রাজকুমারীর এক রাতের টয়লেটে ৩০ লাখ টাকা
থাই রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিনধরন তিন দিনের জন্য কম্বোডিয়া সফর করছেন। এই সফরকে কেন্দ্র করে কম্বোডিয়ায় তাঁর জন্য একটি বিলাসবহুল টয়লেট (প্রসাধনকক্ষ) নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খরচ পড়েছে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা প্রায় ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
কম্বোডিয়ার রাতানাক্কিরি প্রদেশের লেক ইয়াক লোম হ্রদের তিরে ওই বিলাসবহুল প্রসাধনকক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছে।
খবরে জানানো হয়, আট বর্গমিটার চওড়া প্রসাধনকক্ষের কমোডটি বিদেশ থেকে কেনা। এটি সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এটি নির্মাণ করতে দুই সপ্তাহ লেগেছে। এটি নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা কম্বোডিয়ার গড় বার্ষিক বেতনের ৬৬ গুণ।
কম্বোডিয়া ডেইলি ডটকমের খবর অনুযায়ী, থাই রাজপরিবারের ওই সদস্যের সফর শেষে প্রসাধনকক্ষের সাজসজ্জা খুলে নেওয়া হবে।
লেক কমিটির প্রধান ভেন চার্ক কম্বোডিয়া ডেইলি ডটকমকে বলেন, থাই রাজকুমারীর ব্যবহারের জন্য প্রসাধনকক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর সফর শেষ হলে এর সাজসজ্জা থাইল্যান্ডে ফেরত যাবে। তবে রাজকুমারী ওই প্রসাধন ভবনটি স্থানীয় অধিবাসীদের ব্যবহারের জন্য রেখে যাবেন।
থাই রাজকুমারীর জন্য টয়লেট নির্মাণের পেছনে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করাকে অনেকেই ভালোভাবে নেননি। এ ঘটনাকে তাঁরা কম্বোডিয়ার জনগণের প্রতি অসম্মান হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সাবেক সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রেগর মার্শাল একটি পত্রিকাকে বলেন, কম্বোডিয়ার অধিকাংশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত আধুনিক পয়ঃব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা নেই। থাই রাজকুমারীর এক রাতের ব্যবহারের জন্য যে অর্থ ব্যয় করে একটি টয়লেট বানানো হলো, তা দিয়ে পুরো কম্বোডিয়ার গ্রামবাসীর পয়ঃনিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা করা যেত।
কম্বোডিয়া সফরের সময় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের কথা রয়েছে থাই রাজকুমারীর। তাঁর কিছু প্রাইমারি স্কুলও পরিদর্শন করার কথা। এ ছাড়া তিনি কম্বোডিয়ার রাজার সঙ্গে দেখা করবেন।