কবরদেশের বন্ধু-সুহৃদ হবে কী এবং কারা?

0 0

নামায তার ডান দিকের আযাব প্রতিহত করে। রোযা তাকে বাম দিক থেকে আগত আক্রমণ হতে রক্ষা করে। সদকাসহ অন্যান্য ভালো কাজ যেমন, লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, মসজিদে গমন করা ইত্যাদি তাকে পায়ের দিক থেকে আক্রমণকারী আযাব হতে পরিত্রাণ দেয়।

kaboor
ইমাম তবরানি রহ. তার ‘আল-মুজামুল আওসাত’ গ্রন্থে হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, কবরের মধ্যে যখন মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয় তখন তার ওপর বিভিন্ন দিক থেকে আযাব আসতে থাকে। যখন মাথার দিক থেকে কোনো আযাব আসার উপক্রম হয় তখন তার কুরআন তিলাওয়াত সে আযাবকে প্রতিহত করে দেয়।

অপর এক হাদিসে এসেছে, নামায তার ডান দিকের আযাব প্রতিহত করে। রোযা তাকে বাম দিক থেকে আগত আক্রমণ হতে রক্ষা করে। সদকাসহ অন্যান্য ভালো কাজ যেমন, লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, মসজিদে গমন করা ইত্যাদি তাকে পায়ের দিক থেকে আক্রমণকারী আযাব হতে পরিত্রাণ দেয়। সহিঞ্চুতা ও সংযমশক্তি এক দিকে দাঁড়িয়ে থেকে এ কথা বলতে থাকে, কোনো অভাব দেখা দিলে আমি সে অভাব দূর করে দিবো।

হযরত সুফিয়ান সাওরি রহ. বলেন, যেভাবে পৃথিবীতে কোনো ব্যক্তি বিপদে পড়লে চতুর্দিক থেকে তার ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে, ঠিক সেরকমভাবে সেদিন মৃত ব্যক্তির সৎ কর্মসমূহ তাকে কবরের বিভিন্ন শাসিত্মমূলক ব্যবস্থার কোপানল হতে বাঁচিয়ে রাখবে। এরপর তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হবে, আল্লাহ তোমার কবরে বরকত নাযিল করুন। কাজেই কবরদেশের এ সুহৃদগণ আমাদের জন্যে অত্যমত্ম উপকারী প্রমিত হবে। হযরত ইবনে আবিদ দুনিয়া রহ. তার লেখা কিতাবুল কুবুরে বর্ণনা করেছেন।

মূল : আল্লামা ইদরিস কান্ধলভি রহ.
অনুবাদ : মাওলানা মিরাজ রহমান

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares