নবীনগরে কৌশলে চলছে ভিক্ষাবৃত্তি

0 1

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকে: নবীনগর পৌর শহর ও উপজেলার আশপাশের গ্রাম এলাকা গুলিতে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এক ধরনের পেশাগত ভিক্ষুক। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নিন্ম আয়ের মানুষগুলো ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাতে ভিড় জমিয়েছে।

স্থানিয়রা জানান, ভিক্ষুকরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে চাল,ডাল, নগদ যা দিতেন তাই মেনে নিত। আবার না দিলেও মেনে নিত সহজেই । কিন্তু এখন যারা ভিক্ষাবৃত্তি করছেন তার পেশাদার ভিক্ষুক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীনগর পৌর শহরের ও আশপাশ এলাকায় অনুসন্ধান করে ৫ ধরনের ভিক্ষুকদের লক্ষ্য করা গেছে। প্রথমত এরা প্রতিদিন বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন। এবং শুক্রবার দিন জুমার নামাজের আগ থেকে বিভিন্ন মসজিদের সামনে অপেক্ষা করেন। দ্বিতীয়ত, কিছু মহিলারা তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কৌশল শিখিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে দূরে দাাঁড়িয়ে থাকে। বাচ্চারা পথচারী নারী,পুরুষ,ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত হাত পা ছাড়েনা। অনেকটা জোড় করেই টাকা আদায় করেন। তৃতীয়ত, শহরের শপিংমলগুলো, লঞ্চঘাট,হাট-বাজারসহ সর্বস্থানে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষদের নানা আকুতি মিনিতি করে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ বোন বিয়ে দিবে, কেউ বাবা,মা,ছেলে সন্তানের চিকিৎসা করাবে এমন শত অযুহাত দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন।

চতুর্থত, এই ধরনের ভিক্ষুকরা বেদে সম্প্রদায়ের লোক,এরা একটা ছোট কাঠের বাক্সেটা ছোট সাপ ভরে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। নানা অযুহাতে টাকা নেয়। এদের বেশীর ভাগই অল্প বয়সের যুবতী। সবশেষে হিজরা সম্প্রদায়,সমাজে তাদের তৃতিয় লিঙ্গ বা হিজরা বলা হয়ে থাকে। তারা বিয়ে বাড়ি,কারো সন্তান জন্মালে,দোকান পাটে ও বাড়িতে বিভিন্ অনুষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন। অনেকর অভিযোগ তারা এক প্রকার জোর করেই টাকা আদায় করেন,যেমন টাকা দিতে দেরি বা না দিতে চাইলে বাড়ির ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে যাবে বা তাদের নিজেদের শরীরের কাপড় খোলে নগ্ন হওয়ার হুমকি দিয়ে তাদের টাকা আদায় করেন।

এ বিষয়ে তাদের একজর দলপতি জনি হিজরার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা বিয়ে,কারো ঘরে নতুন অতিথি আসলে (বাচ্চা জন্মালে) বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষের বাসা-বাড়িতে গিয়ে থাকি। মানুষ আমাদের খুশি হয়ে টাকা দিয়ে থাকেন।সে জন্য কিছু মানুষ আমাদের অবহেলার দৃষ্টিতেও দেখেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নবীনগর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল জানান, জোর পূর্বক টাকা আদায় করা অন্যায়,এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি,পেলে ব্যবস্থা নিবো। তাছাড়া বর্তমানে সরকারের পাশাপাশি পুলিশ প্রসাশনের উদ্যোগেও হিজরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যেই এই সমস্য গুলোকে আর দেখা যাবেনা

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares