করোনা কালিন প্রবাসীদের বোবা কান্না
আমিন ব্যাপারী,কাতার প্রতিনিধি:: প্রবাসে সোনার হরিণের সন্ধানে আসা বাংলার সোনার ছেলেরা করোনা কারিনা সময়ে কর্মহীন হয়ে ঋণের বোঝা নিয়ে বোবা কান্না পরিনিত হয়েছে তাদের জীবন।এক দিকে রঙিন স্বপ্ন অন্যদিকে হতাশা তিলে তিলে মারছে অথচ এই সব রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
বর্তমান বিশ্বে ১ কোটির অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পরিবারের সচ্ছলতা আনতে এসব প্রবাসীরা বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন। অন্যদিকে আবার যখন প্রবাসীরা বাংলাদেশে যায় তখন বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সাথে অবমূল্যায়ন ও দুর্ব্যবহার প্রতিনিয়ত শোনা যায় প্রবাসীদের কাছ থেকে।এই সব বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের আরো জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন মনে করেন প্রবাসীরা।
প্রতিটি প্রবাসীর প্রথম টার্গেট কষ্টের উপার্জনিত অর্থ মাস শেষে দেশে পেরণ কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কেমন আছে প্রবাসীরা এই কথা জানা নেই তাদের পরিবারের। চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপের পাশাপাশি নিম্নমানের জীবনযাপনে অতিষ্ট তাদের জীবন। আবার অনেকেই পচন্দ গরমে বিশ্রামহীন পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থ সময় মত পাচ্ছে না।ফলে ধারদেনা করে আসা প্রবাসীদের বোবা কান্না পরিনিত হয়।নিজের অবস্থান যেমন পরিবারকে বুঝাতে অক্ষম তেমনি ঋণের বোঝা মাথায় তিলে তিলে শেষ হচ্ছে তাদের জীবন।
সেই সাথে বছর ঘুরে আসলে বৈধ কাগজপত্র বা ইকামা বাবত প্রবাসীদের গুনতে হয় মোট অংকের অর্থ। আবার অনেক প্রবাসী কর্মহীন ও অর্থ সংকটে কারণে সময় মত ইকামা নবায়ন করতে বিলম্বিত হওয়ার কারণ অবৈধ পন্থায় বসবাস করতে হয়।ফলে একদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভয় অন্যদিকে জীবিকার সন্ধানে নতুন কর্মক্ষেত্রের সন্ধ্যান।
অনেকেই আবার দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।প্রবাসের আসাল পর ভিসার সাথে কাজের চুক্তিপত্র ঠিক না থাকার কারণে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা।সেই সাথে এক দিকে কর্মহীন অন্যদিকে ঋণের বোঝা নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ব্যায় কমাতে লোকবল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।করোনা সংকট খুব শীঘ্রই না কমে আসলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পাশাপাশি কর্মহীন প্রবাসীদের দেশে যাওয়ার ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
তারপরও প্রবাসীরা মা-বাবা,ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন নিকটবর্তীদের জন্য সর্বদা নিজেকেরকে উৎসর্গ করে যাচ্ছে তারা।যদিও বর্তমান সরকার বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের প্রবাসীদের উৎসাহ জুগাতে ২% প্রণোদনা দিচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে কম সুদে ব্যাংক ঋণ দিলেও সঠিক নিয়ম না জানার কারণে এসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক প্রবাসী।