ছয়টি আসনে ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার

0 2

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে কম্পিউটারের প্রোগামিংয়ে দৈবচয়নের মাধ্যমে ছয়টি সে আসনগুলো বেছে নেয়া হয়েছে।

আসন ছয়টি হলো- ঢাকা-৬ ও ১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২। এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর সংশ্লিষ্ট ৪৮টি আসনের মধ্যে ৬ আসন ইভিএম ব্যবহারের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে বেছে নেয়া হয়।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেছিলেন, ‘৩০০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে এগুলো সিটি করপোরেশন, আরবান এলাকায় ব্যবহার করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর সাংবাদিকদের সামনে এ ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হবে।’

৩৫টি রাজনৈতিক দল ও অংশীজনরা এ ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও কেন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, মানুষ অনেক শিক্ষিত হয়েছে। সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনাও আছে। ’

যে ৪৮টি আসন থেকে ৬টি আসন নির্ধারণ করা হয়-
ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-৩, নীলফামারী-২, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-৩, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-৫, রাজশাহী-২, পাবনা-৫, কুষ্টিয়া-৩, খুলনা-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ভোলা-১, বরিশাল-৫, টাঙ্গাইল-৫, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, ময়মনসিংহ-৪, ঢাকা-৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ,১৩, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮, গাজীপুর-২, নরসিংদী-১ ও ২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, ফরিদপুর-৩, মাদারীপুর-১, সিলেট-১, কুমিল্লা-৬, ফেনী-২ এবং চট্টগ্রাম-৯, ১০ ও ১১ এ আসনগুলোর মধ্যে দৈবচয়নের মাধ্যমে ছয়টি বেছে নেয়া হয়।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares