সরাইল সোনালী ব্যাংক থেকে দরিদ্র নারীর ঋণের ৫০ হাজার টাকা উধাও

0 2

সরাইল প্রতিনিধি॥  সরাইল উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক থেকে হত দরিদ্র এক নারীর ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগি ওই নারী গত সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ওই ব্যাংকের হিসাব শাখার কর্মকর্তা তাঁর ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।

গত রোববার দুপুরের দিকে সোনলী ব্যাংক সরাইল শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ব্যাংকে বেশ কিছু সময় ব্যাংক কর্মকর্তা ও ওই নারীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে বকবিত-া চলে। এ সময় ব্যাংকের স্বাভাবিক কাজে বিগ্ন ঘটে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ গ্রামের আবদুর রহিমের স্ত্রী পাবিয়া আক্তার উপজেলা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন থেকে ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পান। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাবিয়া ও তাঁর চাচী শাশুড়ী জ্যোৎ¯œা বেগম (৫৫) ওই টাকা উত্তোলনের জন্য ৫৭১৭৭৪৫ নম্বর চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংকে যান। দরিদ্র শাখায় জমা করেন। হিসাব শাখা থেকে তাদেরকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। আধা ঘন্টা অপেক্ষার পরও টাকা না পেয়ে তারা ক্যাশিয়ার হুমায়ুন কবীরের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন হুমায়ুন কবীর ওই নারীকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। এতে দুই নারী কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের পক্ষের লোকজন ব্যাংকে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২ টা থেকে তিনটা পর্যন্ত ব্যাংকে চলে অচলাবস্থা। স্বাভাবিক কাজে বিগ্ন ঘটে। জ্যোৎ¯œা বেগম ব্যাংকের ব্যাবস্থাপকের কক্ষে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তিনি (হুমায়ুন কবীর) আমারে মেলা সময় বসাইয়া রাখছে। এর ফর কয় আপনের টেহা আপনার সাথের পুরুষ লোকটি নিয়া গেছে। আমি বলছি আমার সাথেতো কোনো পুরুষ মানুষ আইছে না। আমরারে ওনি কোনো টেহা দেয় নাই। ওনি টেহাডা মাইরা (আত্মসাৎ) দিছে। শুধের ঋণ পরিশোধের জন্য এই টেহা উঠাইছি। আমরা গরীব এই টেহা কেমনে ফরিশোধ করুম।’ এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীর অসংলগ্ন জবাব দেন। তিনি বলেন, যিনি টোকেন দিয়েছেন তার কাছেই টাকা দিয়েছি। পরক্ষণেই বলেন এই নারীর (জ্যোৎ¯œা) হাতেই টাকা দিয়েছি।’ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জহিরুল হক বলেন, আমাদের এখানে সিসি ক্যামেরা নেই। কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। তবে ব্যাংকের কেউ ওই টাকা আত্মসাৎ করবে না।’ জহিরুল হক আরও জানান, একই দিন দুপুরে ব্যাংকের বারান্দা থেকে আমেনা বেগম নামের এক দরিদ্র নারী থেকে সাত হাজার টাকা প্রতারক চক্র নিয়ে গেছে। এটি কোনো প্রতারক চক্রের কাজ কিনা বুঝতে পাছি না।’
সরাইল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares