সরাইল উপজেলা বিএনপির জরুরি সভায় দলীয় দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রর্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। গত রোববার রাতে এক জরুরি সভা করে নেতারা লিখিতভাবে জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে এ সুপারিশ করেছেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা কমিটি সুপারিশ করেছেন তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরাইল উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্মসম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরাইল উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার।
গত রোববার রাতে সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, জহির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল করিম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক নূর আলম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আজহার মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার প্রমুখ।
শামীমা আক্তার বলেন,‘আমি দলীয়ভাবে নির্বাচন করছি না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। দল আমাকে রহিস্কার করলেও আমি নির্বাচন করবো।’
নুরুজ্জামান লস্কর প্রথম আলোকে বলেন,‘আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। তবে এক মাস আগেই (১০-০২-১৯) আমি দল থেকে পদ ত্যাগ করেছি। তাই দল থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কিছু নেই। আমি এখন নির্দলীয় (স্বতন্ত্র) প্রার্থী।’
আবদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন বলেন,‘নুরুজ্জামান লস্করের পদত্যাগের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হচ্ছে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এবং নির্বাচন বর্জন করা। অথচ তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও তারা নির্বাচন থেকে সরে আসছে না। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা (বহিস্কার) গ্রহণের জন্য ভিখিতভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁদের সাথে দলীয় কোনোজন নেই। কেউ গেলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’