সাচ্চু ছিলেন রাজনৈতিক ও জনকল্যাণের প্রতীক-নক্ষত্র-এর মোড়ক উন্মোচন

0 0

স্টাফ রিপোর্টার : প্রয়াত জননেতা লুৎফুল হাই সাচ্চু ন্যায়পরায়নতা, সততা আর জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক আদর্শের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। মানুষের কল্যাণ কামনার কারণে এক সময় হয়ে উঠেছিলেন দলমত নির্বিশেষে সবার প্রিয়নেতা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, পরবর্তিতে দেশ এবং জাতি গঠনে তার ভূমিকা ছিল অবিষ্মরণীয়। গতকাল প্রয়াত জননেতা লুৎফুল হাই সাচ্চু স্মারকগ্রন্থ নক্ষত্রের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক মানবজমিনের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, লুৎফুল হাই সাচ্চুর মতো জনদরদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কম আছেন। তিনি যেভাবে মানুষকে ভালবাসতেন তা তুলনাহীন। তার একটি দোষ ছিল। আর সেটা হল, তিনি শত্রু-মিত্র চিনতেন না। সবাই তার কাছে ছিল সমান। তার রাজনৈতিক আদর্শ আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। সাচ্চুর মতো নেতার আর জন্ম হবে কিনা জানি না। তিনি বলেন, তাকে নিয়ে লিখা এই স্মারক  প্রমাণ করে তার মৃত্যু নেই। তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তার স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। অনুষ্ঠানে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপি ছায়েদুল হক, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন, সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব আকসির এম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবুল হাসান, লুৎফুল হাই সাচ্চুর সহধর্মীনী ফরিদা হাই, লুৎফুল হাই সাচ্চুর ভাই রাজউকের সদস্য নাজমুল হাই সানি, আল মামুন মনোয়ারুল হাই, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান আনসারী, সমাজসেবী ফারহান নুর। ছায়েদুল হক  বলেন, ৬২ সাল থেকে লুৎফুল হাই সাচ্চুর সঙ্গে আমার চেনা-জানা। আমাদের ঘনিষ্টতা এতটাই গভীর ছিল যে, সব কাজেই তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখতাম। রাজনৈতিক কর্মীরা তাকে অনুকরণীয় করে নিয়েছিল শুধু তার আদর্শ ও সততার কারণে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার খুব ঘনিষ্টতা ছিল। আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ৬ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব ক’টি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। সবগুলো আন্দোলনেই তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ও অন্যতম সহচর ছিলেন। শাহ জিকরুল আহমেদ বলেন, তিনি ছিলেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নক্ষত্র। শুধু পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেই নয়, নিজের যোগ্যতা আর মেধার গুণে রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখেছিলেন। তার নেতৃত্বেই আমরা যুদ্ধজয়ী হয়েছিলাম। সততার প্রশ্নে তিনি সাম্প্রতিককালের সকল রাজনৈতিককে ছাড়িয়ে গেছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অনেকগুণে গণান্বিত তিনি। তিনি বুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত হতেন আবেগে নয়। ফলে নীতি-নৈতিকতা, সততার দিক দিয়ে হয়ে ওঠেছিলেন অনুকরণীয়। সাচ্চু ছিলেন দায়িত্ব ও কাজের প্রতি নিষ্টাবান। মানুষের কল্যানে তিনি নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রেখেছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মানবজমিনের বার্তা সম্পাদক শামীমুল হক।  নক্ষত্র সম্পাদনা করেছেন সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন ও এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares