সীমান্তে হত্যাকান্ড-ভারতের জাতিয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান বলেছেন, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপন করবো। তাছাড়া এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা ভারতের জাতিয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তাকে বলেছি, কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করে কিভাবে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্বোধন উপলক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে এক আলোচনা সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারির সভাপতিত্বে বিকেল পৌনে ৩টায় শুরু হওয়া আলোচনা সভায় উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান এরতেজা হাসান। বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, সুজন সভাপতি প্রফেসর মোখলেসুর রহমান খান, সনাক সভাপতি অধ্যাপক সফিকুল বারী, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল হক, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বশিরুল্লাহ জরু, নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার ও জেলা মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশনের সভাপতি মো. বিপ্লব প্রমুখ।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মিজানুর রহমান বলেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে গম বিলি করা এমপিদের কাজ নয়। আইন হওয়া দরকার এমপিরা যেন আইন প্রণয়ন করেন আর আইনের প্রয়োগে ব্যস্ত থাকেন। প্রয়োজনে বর্তমান বেতনের দ্বিগুন তিনগুন দেওয়া হউক। তবে এমপিদের গাড়ী বাড়ী যেন শুল্ক মুক্ত না হয়। তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদদের ধারণা শাসন করা বা ধরে রাখতে হলে রাজপথ দখলে রাখতে হবে। এটা অশুভ প্রতিযোগীতা। এর নাম গণতন্ত্র নয়। জনগণের হৃদয় দখল রাখতে পারলেই কেবল শাসন করার বৈধ অধিকার পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, একাত্তরের জঘন্য মানবাধিকার লংঘন কারীদের বিচার করতে না পারলে কোন মানবাধিকার আন্দোলনই বেগবান হবেনা।