“স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সেবার মান উন্নয়নে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার অপরিহার্য” – ডাঃ শওকত হোসেন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর উদ্যোগে ২৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের শহীদ ডাঃ মিলন সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন কোন অনিয়মকে ছোট করে দেখা যাবেনা এবং যে কোন অনিয়ম প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিতে হবে। হাসপাতালে আগত সেবাগ্রহীতাদের দায়িত্বশীলতা, পেশাদার এবং দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়ে সেবা প্রদানের জন্য উপস্থিত ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সেবার ইতিবাচক পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সমাজের সকল স্তরের মানুষদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
সনাক সভাপতি জেসমিন খানম বলেন হাসপাতালে সেবার মান পূর্বের তুলনায় উন্নত হয়েছে এবং যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সকলের প্রচেষ্টায় সমাধান সম্ভব হবে। তিনি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে টিআইবি ও সনাক এর পক্ষ হতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সনাক সহ সভাপতি জনাব প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন সেবামূলক খাতসমূহের মধ্যে স্বাস্থ্য খাত হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাত হিসেবে সেবার মান উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয় প্রয়োজন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দালাল নিয়ন্ত্রণ, ওয়ার্ডে হকার নিয়ন্ত্রন এবং হাসপাতালে রোগীদের শয্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন ডাঃ শফিকুল ইসলাম এবং সনাক এর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক জয়দুল হোসেন। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু।
হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত সনাকের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন টিআইবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদুল আলম। পর্যবেক্ষণে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত নিশ্চিত করা; ইলেকট্রনিক হাজিরা চালু করা, দালাল নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা; প্রয়োজনে নিয়মিত দালাল প্রতারক চক্র নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আইডি কার্ড বা নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা করা যাতে রোগী বাইরের লোকের সাথে তাদের পার্থক্য করতে পারে, ডিউটি রোস্টার দৃশ্যমান করা; প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাথরুম/গোসলখানাগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের মাধ্যমে “পুরুষ / মহিলা” আলাদাভাবে চিহ্নিত করা, গাইনি ওয়ার্ডে পুরুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করা, নিজস্ব একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা, তথ্যকেন্দ্র অথবা হেল্পডেস্ক স্থাপন করা, ঔষধের তালিকা হালনাগাদ করা, বেড ও কেবিন পেতে অনিয়ম বন্ধ করা, ওয়ার্ডে হকারদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোগ দায়ের ও প্রতিবেদন কার্যকর ইত্যাদি বিষয়গুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপন করা হয়।