ঘুষ কেলেংকারীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসাবরক্ষণ অফিসের ২ কর্মকর্তার বদলি, সাময়িক বরখাস্ত অডিটর

0 3

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতার জটিলতা নিরসনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসের সুপার আবু ইউসুফ নূরুল্লাহ এবং জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোহাম্মদ আলীকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।

রবিবার উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (প্রশাসন-১) খায়রুল বাশার মো. আশফাকুর রহমান তাদের বদলির আদেশে স্বাক্ষর করেন। আবু ইউসুফ নূরুল্লাহকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এবং মোহাম্মদ আলীকে খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।

২৫শে জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসের অডিটর কুতুব উদ্দিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র জালে ধরা পড়েন ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

অডিটর কুতুব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিক সংগঠনের নেতা গার্ড আব্দুল হাই, কার্যসহকারী নজরুল ইসলাম স্বপন ও হুমায়ুন কবির ঘুষের এই টাকা নিয়ে যান একাউন্টস অফিসে।

সড়ক বিভাগের মাষ্টার রোল কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিতকরণ হওয়ার পর তাদের পূর্বের বকেয়া বেতন-ভাতা পাশ করাতে ওই কর্মকর্তার হাতে ঘুষের এই টাকা তুলে দেন তারা।

তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম স্বপন কুতুব উদ্দিন তাদের কাছে বিল পাশ করাতে ঘুষ দাবি করেছে বলে থানায় অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অডিটর কুতুব উদ্দিনকে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সোহাগ রানা জানান, তারা অভিযোগটি দুদকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে ঘুষ কেলেঙ্কারীর ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। মহা-হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার অব একাউন্টস একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এক সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তদন্ত করেন।

তিনি জেলা প্রশাসক, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও একাউন্টস অফিসের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া কারাগারে গিয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা এবং এনএসআই’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares