আইএস জঙ্গি শামিমাকে নাগরিকত্ব দিতে নারাজ বাংলাদেশ, হাত তুলেছে ইং

0 2

সদ্য মা হওয়া ১৯ বছরের আইএস জঙ্গি শামিমার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড সরকার। এ বার দেশের নিরাপত্তার কারণে তাকে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশও। এই মুহূর্তে সিরিয়ার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে আছে শামিমা। ইংল্যান্ডের উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে নিজের সন্তানকে বড় করার জন্যই লন্ডনে ফিরতে চাওয়ার কথা জানিয়েছিল শামিমা।

চার বছর আগে মাত্র ষোল বছর বয়সে লন্ডনে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে সিরিয়ার জঙ্গিশিবিরে যোগ দিয়েছিল শামিমা। তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যাওয়ার পর সে নিজেই হাজির হয়েছিল মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট আইএস ক্যাম্পে। সারা পৃথিবী থেকে এই ক্যাম্পে হাজির হওয়া মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় আইএস জঙ্গিদের। সিরিয়ায় পৌঁছনর দশ দিনের মধ্যেই এক ইংরেজি ভাষী ডাচ জঙ্গির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় শামিমার। গত চার বছরে বার বার অন্তঃসত্ত্বা হলেও জঙ্গিশিবিরে কোনও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো না থাকায় একটি সন্তানকেও বাঁচাতে পারেনি সে। সিরিয়ার ক্যাম্পে সে সদ্যই জন্ম দিয়েছে নতুন একটি শিশুর। তাকে বাঁচাতেই সে ইংল্যান্ডে ফেরার কথা জানিয়েছিল।

বুধবারই ইংল্যান্ডের বিদেশ সচিব সাজিদ জাভেদ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘শামিমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।’’ একই সঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শামিমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হলেও ওর সন্তানের কোনও দোষ নেই। ওর সন্তান আইন মাফিক ইংল্যান্ডেরই নাগরিক।’’

অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব থাকলে তবেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যায় ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড ভেবেছিল, শামিমার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আছে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য পুরো বিষয়টি থেকে হাত তুলে নিয়েছে। তাঁদের দাবি, ‘‘ শামিমা জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের নাগরিক। ও কোনও দিন দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেনি। ওকে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ সন্ত্রাসের বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক থাকি।’’

প্রথমে ইংল্যান্ড, তার পরে বাংলাদেশ, দুই দেশই হাত তুলে নেওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটে পড়ল শামিমা। সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিবির থেকে বেরিয়ে আসার আপাতত কোনও সম্ভাবনা তার সামনে থাকলো না।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

Shares